Tuesday, December 14, 2010

আমি-ই একমাত্র ENJINEER:-*

দেশ বিদেশ ঘুরে আপনারা আর এক পিস ENJINEER পাবেন কিনা জানি না,
তবে এই মুহুর্তে আমার জানা আমি -ই একমাত্র ENJINEER।

এই অর্জন করতে আমার বহুত হ্যাপা আর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, :(( সেই সাথে মনে মনে একগাদা দোয়া খয়রাত তো নিত্য নৈমত্যিক ব্যাপার ছিল...
X(
X(

ঘটনা হল আমি আমার আগের পাসপোর্ট সারেন্ডার করে নতুন একটা নিতে চাচ্ছিলাম...
দালাল ভরা পাসপোর্ট অফিসে আমি বেকুব নিজে নিজেই করতে গিয়েছিলাম এই কাজ, ওখানকার তথ্য ও অনুসন্ধান থেকে আমাকে বলে এই পাসপোর্ট চিটাগাং থেকে নেয়া, আমার ওখানেই যাওয়া লাগবে!!!!
আমার মাথায় হাত!!!:|
সেই সময় এক দালাল কায়দা মত এসে আমারে পটিয়ে ফেলল আর আমিও রাজী হয়ে গেলাম। ফরম ফিলাপ টিলাপ করে টাকা আর পাসপোর্ট ওদের হাতে ধরিয়ে কিন্চিত শংকাযুক্ত মনে বাসায় আসলাম আর ফোনে ফোনে গুতাতে থাকলাম এই বলে-- 'ভাই! আমার কাজ হইছে'??

দিন যায়... দিন যায় ...
উনি বলে চিটাগাং এর তো, তাই ফ্যক্স আসতে দেরী হচ্ছে , তাই আপনের পাসপো্র্ট পেতেও দেরী...:((:(( , বেশি তাড়াতাড়ি পেতে চাইলে রিনিউ এবং পেশা পরিবর্তন করে ফেলেন, ৩ দিনে হয়ে যাবে।

আমি দেখলাম তাই সই!! বললাম করেন।সেটা৩ দিনেই হয়ে গেল, যদিও ব্যাটা আরও ৪০০ টাকা বেশি নিল:-*
যাই হোক ১৬ দিন পর সেই পাসপোর্ট ব্যাটা আমারে দিল, খুলতেই দেখি আমার পেশা ENJINEER !!!!

দালাল বলে এইটা কি আমরা লিখছি যে আমরা জানব??!!:((:((:((:((:((:((:((:((:((:((

এটাও বলে দিল, এটা এখন ঠিক করতে ৫০০ টাকা অফিসিয়াল চার্য লাগবে!! সাথে দালালের ফি ২০০ টাকা!!

আমি বললাম থাক ভাই , আর বেলতলায় যেতে চাই না, আমি ENJINEER-ই থাকি। কোথাও যদি আমাকে এই বানান ভুল নিয়ে জিগ্গেস করে তাহলে বলব-
-- ''''এইটা কি আমি লিখছি যে আমি জানব??'''


( আরও মজার ব্যাপার পাসপো্রট অফিসে এই ভুল দেখাতে গিয়ে ওরা বলে--
'ও এখানে বানান ENZINEER হবে?'
:P

হে ধরনী দ্বিধা হও:((:((

Sunday, November 21, 2010

দোয়া করতেছি সোনার ভরি ১কোটি টাকা হোক...

চাচতো ভাই বিয়া করল ৩০পার কইরা, আমার হিসাবে বুইরা ভাম বয়স বিয়া করার লাইগা। বিয়া করতে দেরি করার কারন, বিয়া করার উপকরন লাইক গয়না গাট্টি বানানি।

হে হে - আমার কাছে এইটা বিশাল কৈতক লাগে। আমাগে বালের সমাজ- কৈব, মাইয়া থেইকা দুরে থাকবা -আবার বিয়া করনের সময় দুইন্যার জিনিষ কিন্না তারপর পাগরী পরবা। এই দুইন্যার জিনিষ কিনতে গেলে যে বডি দুইন্যর মাটির তলে যাইবার জন্য রেডি হৈতে আছে সেইটা হিসাবের ক্যলকুলেটর ঐ ফাউলা সমাজের নাই, থাকব কেমনে এই বাংলাদেশে -এর সমাজে তো কোন হালার ক্যালকুলেটর বানানির টাইম নাই, আছে খালি কারে মাইরা বড়লোক হৈয়া ভাব ধরা যায়। বড়লোক হওয়া মনে হয় সোজা, তাই এত ট্যাকা খরচ করার নিয়ম।

গয়না গাটি জিনিষ টার দরকার কি এখনতর আমি বুঝতে পারলাম না। মাইনসে এইটা খায় আবার পিন্দেও দেখি। (খায় মানে-- ছিনতাইকারী রা খাইয়া পেটে লুকায়...)। মাগার বিয়ার সময় দিতে হৈব ক্যান রে মনা???? একটা পোলা, কামাই করে, বউরে খাওয়াইতেও পারব। মাগার বিয়া করার অনুমতি সমাজ( এরা কানাঘুষা করব) আই মিন ফ্যামিলি দিব না( হেতাদের মান সন্মান থাকে না)।

আসলে বিয়া হৈল এই দেশে একটা বিরাট বিজনেস। সব পক্ষই লাভবান হৈতে চায়। আর মাইয়াগো কোন ভ্যালু নাই - তাই ভ্যালু জিনিষ লইয়া একটু ভ্যালু বাড়াইতে চায় ( তীব্র সমালোচনা হৈতে পারে ধারনা কৈরা লাইনটা লিখলাম)। অর্থনৈতিক দিকদিয়া আগেকার সমাজে মাইয়ারা উপার্জনক্ষম ছিল না, গৃহস্থালী কামে আবার ওস্তাদ। এখন অনেক মাইয়াই অর্থনৈতিক ভাবে ভাল । বাট তাদের আবার টার্গেট আরো বেশি কামাইন্না পোলা।ভারি ভারি গয়নায় ডুইবা বিয়ার পিড়িতে গয়না গোসলে নামব। যেই পোলা বেশি গয়না দিব তার হ্যাডমের নাম ডাক বাড়ব!!! পোলা-রও ভাবস্ বাড়ব। এই ভাব দেখানির জইন্য ও অনেক পোলা এই কাম করে...

কিন্তু এইসব গয়নার কি দরকার???!!!!

তাই দোয়া করতেছি সোনার ভরি ১কোটি টাকা হোক...

( পোস্ট লিখার আগ্রহ শেষ, বেশি লিখতে পারুম না। না বুঝলে বুঝার চেস্টা করুন- ইমাজিন পাওয়ার ইস বেস্ট পাওয়ার :P। খোদা হাফেজ)

1st published http://www.somewhereinblog.net/blog/epitaxyblog/29022153

বন্ধু , জীবন তো এমনই...

ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোরেন্গে... গানটা বহুবার বহু বন্ধুর সাথে গলা মিলিয়ে গেয়েছি কতবার তার হিসাব নেই । তবে হিসাবে এটা এখন চোখে পরছে- গলা মিলানোর লোকের সংখা কমে আসছে দিন দিন।

অনার্স জীবন শেষ হল বেশ অনেক দিন। বছর দুই প্রায়।বন্ধু বান্ধব সবাই কেরিয়ার নিয়ে ব্যাস্ত- কেউ অহংকার নিয়ে কেউবা মনে একটা বড় দুঃখ নিয়ে। কেউবা আবার সদ্য ডাক্তারী রেজাল্টের পাসের খবর জানিয়ে এসএমএস ভদ্রতা দেখাতে সচেষ্ট...

কারোর-ই মনে হয় আর সেদিনের কথা খেয়াল নেই - আর সাথে সেই বয়স-ও নেই। কিন্তু জানি মনের মাঝে আচমকা ঝলকানি দিয়ে উঠে সেই ছোটবেলার হরতাল দিনে ক্লাস করতে যাবার আকুল চেস্টা- কারন হরতাল এর কারনে ক্লাস হবে না- হবে খেলা , পা ঝুলিয়ে নদীর ঘাটে বসে বড়দের মত করা, কাপা হাতে এডাল্ট..., দলবেধে 'ভাল কিন্তু ভাব' মারা ছাত্রকে 'সাইজ' করা, পরীক্ষায় কমন না পরলে স্যারকে দোষ দেয়া প্রাইভেট পড়িনাই দেখে এই হাল... এরকম কত শত।

এক বন্ধু একটু আগে ফোন দিল ,বিয়ে করতে যাচ্ছে। শহীদ জীবনে গেলে আর আমাদের খুজতে যাবে না জানি- এমন আফসোস করতে করতে আমরাও একদিন 'শহীদ' হয়ে যাব। আরেক বন্ধুর বিদেশ যাওয়া কনফার্ম। ব্যাস্ত বিদেশে যেয়ে ওটাকেই দেশ বানানোর জন্য। এরকম সংখা এখন অনেক। আর যারা ইনটারের পর গিয়েছিল তারা তো মাঝে মাঝে হঠাৎ করে দেশে উদয় হয়ে উদর তৃপ্তি করে বিল মেটাতে মেটাতে বলে মাত্র এই ক'টাকা। আমাদের বোঝানোর চেস্টা কত বেশি ডলার দিয়ে তারা কামাই করে আরো কত বেশি দিয়ে খাই খরচ মেটায়। দুঃখ লাগে একটাই জীবন শুধু টাকা আর দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে শেষ হয় যাচ্ছে।

চাকরী জীবনে আমার অনেক বড় পাওয়া আমার কলিগ রা। বন্ধু হিসেবে আমার অনেক কাছের হয়ে গেছে কজন। তার পর ও মাঝে মাঝে এদেরকেও হারাতে হয়। নতুন চাকরী আর আরও ভাল থাকার সংগ্রামে নিজেদের সমর্পন করে এগিয়ে যায় আরও উন্নতির পথে। যোগাযোগ টা হয় ফোনে। কাহাতক আর কথা হয়। একসাথের সেই অফিস এর পাশের চা দোকানের আড্ডা -র স্মৃতি মলিন থেকে মলিনতর হয়।

ফেসবুকের ফেস আর ভাল লাগে না, কারোর হতাশা ভরা মুখচিহ্ন( স্ট্যাটাস) আর কারোর নতুন পাওয়া খবরেই জানতে হয় কার কি অবস্থা । বাড়ির পাশের বন্ধুও এখন বলে বসে - কি বলিস রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস পাল্টছি- তুই দেখিস নি!!! সব কিছুতেই ডিজিটালের ছোয়া। যন্ত্র থেকে আরো যন্ত্র হয়ে যাচ্ছি , যেখানে আবেগ এর ঠাই নেই, আছে শুধু জীবনকে সফল বানাবার টুলস।

বান্দরবান ঘুরতে যেতে মন চাইল আমাদের দু-বন্ধুর। দুজনে যেয়ে মজা লাগবে না, তাই বাকিদের সথে যোগাযোগের চেস্টা। কারোর অফিস, কারোর বউ রাগ করবে, কারোর ইচ্ছা নেই.... ব্লা ব্লা...
সাথের বন্ধুটিকে জিগ্গেস করলাম, তাহলে যে ছোটবেলায় বাসা থেকে পালিয়ে মাঠে খেলতে দৌড়াতাম- সেই তাড়না কোথা থেকে আসত? বন্ধুটির জবাব, দোস্ত জীবন এমনই... পুরোন স্মৃতি ভেবে লাভ নেই।

ল্যাপটপের যত্ন আত্তি- কিছু টিপস

আরেকটা পোস্ট দিলাম লয়াপটপের উপরে। কাজে লাগবেই।:D
আপনার যখন একটি ল্যাপটপ আছে, এর তো যত্ন করতে ই হবে। আমরা অনেকেই ডেস্কটপের মতই একে যত্ন করতে যেয়ে ভুল করে বসি। কিছু বিষয় জানা থাকলে যত্ন করতে গিয়ে ক্ষতি হাত থেকে বাচা যায়। অনেকদিন খুব স্বাচ্ছন্দে ব্যাবহার করা যায়।

[sb]ল্যাপটপ কর্পোরেশনের(!) ময়লা সাফকরন প্রকল্প

কিছু বিষয় নিয়ে শুরু করছই এখন, তার আগে মাথা থেকে নিচের জিনিষগুলা সরিয়ে ফেলুন ল্যাপটপ পরিষ্কার করার জন্য-
১. মিঃ ব্রাশো
২. টিস্যু পেপার
৩.পানি বা বিদ্যুৎপরিবাহি তরল।
৪. শক্ত ব্রাশ
( আবারো বলছি এগুলো দিয়ে ল্যাপটপ পরিস্কার করতে যাবার চিন্তা করবেন না ভুলেও)

আর যে জিনিষগুলা খুব দরকার-:
ছবির এরকম কিনতে পারলে খুব ভাল -
১. এলসিডি ক্লিনার - দেশে এভেইলেবল না, অন্তত আমি পাইনি। মালয়শিয়া থেকে ল্যাপটপ কিনলে এরকম ১০টা আইটেম ফ্রি দেয়, দেশে সব খাটাস, কেউ দেয় না এসব দরকারি জিনিষ। এলসিডি ক্লিনার টিস্যু পাওয়া যেতে পারে তবে অনেক দাম :(
২.কটন এর সফট কাপড় - অনেক সময় ল্যাপটপের প্যাকেটই ফ্রি দেয়া হয়।
৩. ব্রাশ- ল্যাপটপের সাথে না পেলে, রং এর দোকান থেকে ১০-১৫ টাকায় কিনতে পারবেন।
৪. পাম্প ব্লোয়ার- এটাও আমি দেশে কিনতে পাইনি, খুজে দেখটে হবে , তবে জিনিষটা ঠিক এমন - হাত দিয়ে পাম্প করতে হয়।

৫. কনটাক্ট ক্লিনার- খুবই দরকারি আর কাজের একটা জিনিষ। স্টেডিয়াম মার্কেটে পাওয়া যায় । দাম ১২০-১৫০টাকা। অনেক দিন যাবে। বাসার সব ইলেক্ট্রিক যন্ত্রেই ব্যাবহার করতে পারবেন। ( আমারে কেউ কিন্না দিয়েন , আমারটা শেষ হয়ে গেছে :(:(( )

এইবার আসি কেমনে কি করবেন-

১. ল্যাপটপ স্ক্রিন
ল্যাপটপ স্ক্রীন এ ভুলেও মিঃব্রাশো মার‌তে যাবেন না। স্থায়ী দাগ পরা বা স্ক্রীন এর ক্ষতি হতে পারে।আগে পাম্প ব্লোয়ার দিয়ে লয়াপটপের সকল আলগা ময়লা পরিষ্কার করুন তারপর এলসিডি ক্লিনারদিয়ে কটন কাপড় দিয়ে হালকাভাবে এলসিডি পরিষ্কার করুন।
অনেকে আছেন , তার মডেমটি কি বোর্ডের উপর রেখেই ডালা হালকে ভাবে রেখে দেন। এরকম করলে ভুলবশত চাপ পরে গেলে স্ক্রিনটি চিরস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যাবে।
আরেকটি কাজ করতে পারেন স্বচ্চ্ছ ল্যাপটপ স্ক্রীন প্রটেক্টর কিনতে পারেন। আইডিবি সহ অনক জায়গাতেই পাওয়া যায়।তবে এই জিনিষ আমার অতটা দরকারি মনে হয় না, তবে যাদের বাসায় পিচ্চি আছে তাদের ব্যাবহার করা উচিত (পোস্ট এডিট করে এটা যোগ করলাম)
২.কুলিং ফ্যান।
কুলিং ফয়ান এ ময়লা জমা টা নির্ভর করে আপনি কেমন যায়গায় সেটা ব্যাবহার করছেন । ধুলাময় স্থানে ব্যাভার করলে তো বেশি হবেই । এক্ষেত্রে আপনি আপনার পাম্প বলোয়ার ইউজ করতে পারেন। আর বেশি সাহসী হলে কনটাক্ট ক্লিনার দিয়ে তারপর পাম্প করবেন। ভয় পাবেন না এটা আমি করে দেখেছি, ভাল কাজ দেয়। কুলিং ফ্যানে অনেকের শব্দ হয়, এভাবে করলে অনেক সময় শব্দ কমে যায়।
এভাবে যদি শব্দ/ নয়েজ না যায়, তখন ল্যাপটপ টা খোলা ছাড়া মনে হয় গতি নাই।
৩. কী বোর্ড
মিঃব্রাশো দিয়ে যদি এখহনও পরিস্কার করার ইচ্ছা থাকে তাহলে বলটে হবে আপনিো আপনার কীবোর্ডের কতগুলা কি কাজ করবেনা এমন অবস্ঠার জন্য প্রস্তুত। কারন মিঃব্রাশো দেবার কারনে কীবোর্ড এর বোতামের পিছনে থাকা সফট পিসিবি নস্ট হয়ে যায়।
এখানে আপনি ঐ পাম্প ব্লোয়ার এবং ব্রাশ ইউজ করে যতটুকু সম্ভব ময়লা সাফ করটে পারবেন।
কী বোর্ড এর জন্য এক ধরনের লিকুইড কিনতে পাওয়া যায়, খুব-ই ঠান্ডা অনুভুত হয় এটা ইউজ করলে। ওটাও বাংলাদেশে পাওয়া যায় কিন জানি না। আমি পাই নাই :(
কখনও কাপর দিয়ে কিবোর্ড মুচতে যাবেন না, এতে কী কাপড়ের আশে লেগে কী উঠে যেতে পারে। সাবধান
কী -বোর্ড প্রটেক্টর নামে পাতলা রাবারের একটা আবরন কিনতে পাওয়া যায়। ১৫০ থকে শুরু এর দাম। এটা ইউজ করা বু্দ্ধিমানের মত হবে। অনেক ছোটখাটো। বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় অনেক সময় চা বা জুস জাতিয় তরল খাবার সময় ল্যাপটপে পড়ে যায়। যেহেতো কীবোর্ড দিয়ে ই এগুলা ঢোকে তাই এই প্রোটেক্টর আপনার ল্যাপটপকে সেফ রাখবে।
৪. পুরা বডি
এমনিতে হালকা কটন কাপর দিয়ে পরিস্কার করে ফেলবেন। এখানে আপনার চোখ টা ঠিকমত লক্ষে রাখবেন। আর যেসব খাজ থাকে সেখানে ব্রাশ লাগাবেন।

ল্যাপটপ পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কর্পোরেশন(!)
আপনার ল্যাপটপে একটা ব্যাটারি আছে,। নস্ট হবার মধ্যে এটা সবার আগে পড়ে। কারন লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ইুজ করা হয় ল্যাপটপে আর এগুলার লাইফ স্প্যান ৪০০-৬০০ ফুল চার্জ & ডিসচার্জ সাইকেল হয়। মানে আপনি যদি মোবাইল ফোনের মত একে চার্জ দিয়ে ফুল করে আবার শেষ করতে থাকেন আর এভাবেই চালাতে থাকেন তাহলে অচীরেই আরেকটা ব্যাটারি কিনটে হবে।
নতুন ল্যপটপের ক্ষেত্রে প্রঠমবার ৮ ঘন্টা বন্ধ রেখে তো ল্যাপটপ ব্যাটারি চার্য অবশ্যই করবেন আর কেনার পর প্রথম সপ্তাহে মোট চারবার চার্য & ডিসচার্য করে ল্যাপটপ ইউজ করবেন। মানে তখন ল্যাপটপ বন্ধ রেখে ৪ ঘন্টনা চার্য দিয়ে শুধু ব্যাটারি দিয়ে চালিয়ে আবার চার্য শেষ করে আবার চার্য দিবেন। এতে বা্যাটারি ফুল পারফর্মেনস এর জন্য তৈরি হবে। তবে এরকম চার্য ডিসচার্য করে ইউজ কারার ডরকার আর নেই। পরবর্তিতে এরকম যত করবেন তত ব্যাটারীর লাইফ সাইকেল কমবেআর চার্য দেবার জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ পাবার চেস্টা করবেন, রাতে ডেয়াই তাই ভাল চার্যের জন্য।
সাধারনভাবে চেস্টা করবেন এসি সাপ্লাই দিয়ে চালানোর জন্য। আবার বেশি সময় যাতে এসি সাপ্লাইয়ে না চলে এ ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। কারন তাতে ও ব্যাটারির ক্ষতি হবার সম্ভাবনা প্রচুর। তাই ভাল নিয়ম হল বেশিক্ষহন এসি সাপ্লাইয়েতে চালালে ব্যাটারি কুলে ইউজ করেন। এতে সমস্যা হবে যে কারেন্ট চলে গেলে লয়াপটপ অফ হয়ে যাবে।
আবার ফুল চার্য ব্যাটারি ল্যাপটপে বেশিদইন রাখা ঠিক না। তাই প্রতি ৮-১০ দইন পর পর হলেও ব্যাটারিকে ডিসচার্য করতে সুজোগ দিন।
অনেক দিনের জন্য ল্যাপটপ বাসায় রেখে চলে যাচ্ছেন, কেউ ইউজ করবে না?? তাহলে ব্যাটারি খুলে রেখে পলিথিনে মুড়িয়ে রাখুন আর ল্যাপটপকে তার ব্যাগে রেখে (সিলকা জেল যেন থাকে ব্যাগের ভেতর) না বেশি গরম না বেশি ঠান্ডা এমন জায়গায় রেখে বেরিয়ে যান ।

(উফফফফফফ...। ম্যালা লিখে ফেলছি... মাথা ব্যাথা করছে। সব লিখতে পারলাম না:( ।ভাই মাফ করেন অনেক্ষন প্যাচাল পারলাম। বিরক্ত হৈলে বৈলেন , আর লিখুম না। )

মন্তব্য থেকে নেয়া-
শোভন এক্স বলেছেন: দেশের বাজারে ল্যাপটপের স্ক্রীন পরিস্কারের জন্য যে লিকুইড পাওয়া যায়, কেউ ভুলেও সেটা ব্যাবহার করবেননা। ওর মধ্যে স্পিরিট দেয়া থাকে যা ল্যাপটপের স্ক্রীনের জন্য হারাম। ক্যামেরার লেন্স ক্লিনারেরও একই অবস্থা। ঐ ফ্লুইড দিলে লেন্সের কোটিং উঠে যায়। সবচে ভালো ক্লিনার হলো মাইক্রো ফাইবারের কাপড় হালকা ভিজিয়ে সেটা দিয়ে মোছা।

একটু এডিট করলাম
কী -বোর্ড প্রটেক্টর নামে পাতলা রাবারের একটা আবরন কিনতে পাওয়া যায়। ১৫০ থকে শুরু এর দাম। এটা ইউজ করা বু্দ্ধিমানের মত হবে। অনেক ছোটখাটো। বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় অনেক সময় চা বা জুস জাতিয় তরল খাবার সময় ল্যাপটপে পড়ে যায়। যেহেতো কীবোর্ড দিয়ে ই এগুলা ঢোকে তাই এই প্রোটেক্টর আপনার ল্যাপটপকে সেফ রাখবে।

ছোট ল্যপটপ নেটবুক নিয়ে কতকথা। টিপস- দামদর

দুনিয়াটা যেমনে ঘুরতেছে তাতে মাইনসের না ঘুইরা কোন উপায় নাই। আগে একটা সিন্দাবাদের জাহাজ আর তলোয়ার নিয়া বাইর হৈলেই হৈয়া যাইত। মাগার এখন বাইর হৈতে হলে চিন্তা করতে হয়- বস এ রাস্তার মধ্যেই দাবড়ানি দিবার পারে আর তাতে আমাগো ছোট মাথার বিশাল বিশাল প্রসেসর প্যাচ খায়া হ্যাং হৈয়া যাইতে পারে।

যাক আসল কথায় আসি। মোবিলিটির প্রয়োজনে আমাদের প্রয়োজন এমন এক যন্ত্র যা বহনযোগ্য হালকা, দরকারি কাজের কাজী, আর সেই সাথে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সেটা চলতে পারবে অনেক্ষন। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে ল্যাপটপ নোটবুক এই চাহিদা পূরন করলেও মানুষের দরকার আরো পোর্টেবিলিটি। তাই এসেছিল নেটবুক- আরো হালকা আরো বেশি ব্যাটারি ব্যাকাপ। যদিও খুব শিঘ্রীই বাজারে রাজত্ব করবে আইপ্যাডের মত ট্যাবলেট পিসি

নোটবুক আর নেটবুকের মধ্যে সাধারন পার্থক্য হল-
:)নেটবুক অনেক হালকা ( ০.৯ কেজি থেকে ১.৪ কেজি এর মধ্যে)
:)ব্যাটারী ব্যাকাপ বেশি ( সাধারনত ৬ ঘন্টা তবে ৮-৯ ঘন্টার গুলাই বেশি চলে।)
:D দাম কম
:|মনিটর স্ক্রীন সাইজ ছোট( ৭ইন্চ থেকে ১১.৬ ইন্চ, যদিও এখন স্ট্যান্ডার্ড হল ১০.১ ইন্চ)
:| মাল্টিটাস্কিং এ ভাল না( স্লো প্রসেসরের কারনে)
/:) ভাল গেম খেলা যায় না, উচিতও না।
:(( গ্রাফিক্স বা সিমুলেশন সফটওয়ার চলে শামুকের পিঠে বস্তা চাপায় দিলে যেমন হয় তেমন
:-* ভিএলসি প্লেয়ার আটকায়ে আটকায়ে যায়
:| বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাভার করা হয় ইন্টেল এটম প্রসেসর ( Click This Link ) , তবে কিছু কিছু (১১.৬ ইন্চ মনিটর আলা গুলায় )ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয় সেলেরন বা ডুয়েল কোর প্রসেসর, সেগুলার দাম বেশি।
;) ডিভিডি রম থাকে না, তবে কিছু কিছু (১১.৬ ইন্চ মনিটর আলা গুলায় ) ডিভিডি রম থাকে, স্বাভাবিক ভাবে দাম অনেক বেশি।

নেটবুক আর নোটবুকের পার্থক্য দেখতে ইন্টেলের লিনক- Click This Link
নেটবুক মূলত হালকা ধরনের কাজের জন্যই ব্যাভার করা হয়। অনেকই ব্যাকাপ হিসেবে ডেসক্টপ বা নোটবুক রাখেন। দরকারেই রাখা উচিত। কারন নেটবুকে আপনি সব কাজ করতে পারবেন না। কেনার আগে তাই আপনার হিসাব করা উচিত কি কি কারনে আপনি নেটবুক টা কিনতে চাচ্ছেন।

এটম প্রসেসর নিয়ে কিছু কথা
এটম প্রসেসর মূলত মোবাইল প্রেসেসর। আজকাল অনেক হ্যান্ডসেটেও এটম প্রসেসর ইউজ করা হয়, যেমন সনি-র এক্সপেরিয়া।তাই এর কাছ থেকে বেশি আশা করা ভুল। সেলেরনের চাইতে এটম অনকাংশে স্লো, তবে পাওয়ার খুব কনজিউম করে। এগুলা যখন কাজ করে না তখন পাওয়ার এত কম নেয় যে ব্যাটারি চার্য রিমেইনিং দেখায় ১৪ ঘন্টা !!! আর হ্যা এই প্রসেসরগুলা বিল্ট ইন থাকে মাদার বোর্ড এর সাথে।
ডিভিডি রম এবং অপারেটিং সিস্টেম
ডিভিডি নাই দেখে হা পিত্যেস করার কোন দরকার নাই। খুব বেশি প্রয়োজন হলে ৪-৫হাজার টাকায় ইউএসবি ডিভিডি রম কিনটে পাওয়া যায়। যারা বেশি বিজি বা সেটাপ দিতে ঝামেলা মনে করেন তাদের উচিট হবে অবশ্যই জেনুইন ওএস এক্সপি নেয়া। কারন এগুলা হার্ড ড্রাইভেই ব্যাকাপ ওএস থাকে প্রয়োজন মত ওএস রিকভার অপশনে ক্লিক করলে আপনা আপনিই সেটাপ শুরু হয়ে যায় আর ৩০মিনিটের মধ্যেই ড্রাইভার, বেসিক সফওয়ার সহ ইন্সটল হয়ে যায়। তবে আমার পরামর্শ হল সেভেন না ইউজ করা, এতে স্লো পারফরমেন্স মনে হবে। অবশ্য সেভেনের একটা বেসিক ভার্সন আছে, ওটা ভালই তবে ওটাকে সেভেনের ছায়া মনে হয় , সেভন ব্যাভারের আসল অনুভুতি আসে না।
ব্যাটারি
অবশ্যই ৬ সেল নেবেন , এতে ব্যাকআপ ৬-৮ ঘন্টা পাবেন। আর যদি ৩ সেল নেন তাহলে পাবেন মাত্র ২.৫ ঘন্টা মত। তাই দাম বেশি দিয়ে হলেও ৬ সেল নেবেন। আমি একটা এসার এস্পায়ার ওয়ান ব্যাভার করি । ব্যাকাপ ৭ঘন্টা দেয়। তবে কাজ বেশি করলে কম দেখায়। আমি ইজিলি ২ঘন্টার ৩ টা সিনেমা দেখে ফেলতে পারি।
কুলিং ফ্যান
যে কোন ল্যাপটপ কেনার সময় খায়ল রাখবেন এর কুলিং ফ্যানটা যেন সাইডের দিকে থাকে, অনেক লয়াপটপে নিচের দিকে থাকে এতে যেটা হয় সেটা হল , গরম বাতাস বেরোতে সমস্য হয়। অনেকে বিছানা বা বই এর উপরে রেখে ইউজ করেন, এটা ঠিক না। কাচ বা প্লাস্টিকের শক্ত শিটের উপর ব্যাবহার করা যায়। সবচে ভাল হল লয়াপটপ কুলার কেনা। এর দাম বেশি না। ৬০০-৩০০০টাকা। আর পায়ের উপর রেখে ইউজ করলে অনেকর ভবিষ্যত প্রজন্ম আনার ফ্যাক্টরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে ;)
কী বোর্ড
নেটবুকের কীবোর্ডগুলার কী সাধারনত খুব ছোট হয় বলে এতে টাইপ করতে ঝামেলা লাগে। কেনার পর ইউজ করতে সমস্যা মনে হতে পারে। আমি অবশ্য বড় সাইজের কী আছে এমন নেটবুক বেছে কিনেছি। টাইপ করতে কোন ঝামেলা লাগে না :)
ব্যাগ
বেশিরভাগ নেটবুকের সাথেই কোন ব্যাগ দেয়া হয় না, তবে একটা পাউচ দেয়া হয়। অনেকেই অফিসের ব্যাগে নেটবুক নিয়ে ঘোরেন, সেখানে অবশ্যই ঐ পাউচের মধ্য লয়াপটপ রেখে তবেই অফিস ব্যাগে রাখবেন। তবে শুধু ল্যাপটপ নিয়ে ঘুরতে হলে একটা ব্যাগ কিনে নেয়া ভাল।


বাংলাদেশের বাজারে এখন যে নেটবুক গুলা পাওয়া যায় তার সাধারন স্পেকস টা হল -
এটম প্রসেসর ১.৬৬ গিহার্য
১জিবি র‌্যাম
১০.১ ইন্চ স্ক্রীন
৬ সেল লিথিয়াম ব্যাটারি
১৬০জিবি হার্ড ড্রাইভ
দামদর
কিছু চাইনিজ ব্রান্ড আজকাল পাওয়া যায় - হাছি, ফাউন্ডার। এগুলার দাম ২২০০০-২৭০০০টাকার মধ্যে
এইচপি , ডেল এগুলা ২৮০০০-৩৩০০০টাকা
এসার ২৫৫০০-৩০৫০০টাকা
আসুস লেনোভো ২৬৫০০-৩১০০০টাকা

কিছু কিছু ব্র্যানড আবার সেলেরন ( যেমন এসার) দিয়েও নিয়ে এসেছে। স্পেকস এ কেউ ২৫০জিবিও দিচ্ছে, ৩সেল ব্যাটারিও দিচ্ছে। আবার অনেকগুলায় জেনুইন উইনডোস থাকে না। ইদানিং কিছু বের হয়েছে টাচ। যদিও টাচ ব্যাবহার করতে ভয় লাগে আমার ।
তবে আমার জানামতে নেটবুক নস্ট হয় কম। আর রাফ ইউজ ভালই করা যায়।

-------------------------------------

মাথায় আরো কিছু আসলে এড করে দিব :)
ধন্যবাদ

ল্যাপটপ ইউজার দের কিছু কমন সমস্যা... ছোটখাটো সমাধান

বাংলাদেশের বর্তমান বিদ্যুৎ এর প্রকট এই সমস্যায় মানুষের নিরবিচ্ছিন্ন কম্পিউটিং উপভোগ করার জন্য সামান্য দাম বেশি দিয়ে হলেও একটা ডেস্কটপের চেয়ে ল্যপটপ কেনাটাকেই প্রাধান্য দেয়
আর দিবেও বা না কেন, কারন ক টাকাই আর দাম বেশি পরে? ৩ ঘন্টা ব্যাকাপের জন্য আইপিএস কিনতে গেলে ডেস্কটপের যা দাম পরবে সেটা হিসাব করতে গেলে ল্যাপটপ এর দাম অনেক কম-ই মনে হবে।

আগে ডেস্কটপ ইউজ করেছে উইনডোজ সেটাপ দেয়া ডালভাত হয়ে গেছে এরকম মনে করে সেই ডালভাত ল্যাপটপের উপর প্রয়োগ করতে যান অনেকই। কিন্ত সামান্য কিছু বিষয় না জানার জন্য অনেক প্রবলেমে পরতে হয় অনেকের। আর এর ফায়দা নেয়- ল্যাপটপের সার্ভিস সেন্টার গুলা। কোনখানেই তো ১০০০টাকার নিচে কেউ সার্ভিস করে না। সেটা শুধু উইন্ডোস সেটাপ হলেও। আইডিবি-র কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা হাবে ভাবে অনেক কিছু দেখাবে, কাজের বেলায় ঠনঠন তারাও ১৫০০টাকা চেয়ে বসে শুধু উইন্ডোজের জন্য। আমার আগে ধারনা ছিল আইডিবির টেকনিক্যল লোকগুলা অনেক কিছু জানে। কিন্তু বাস্তবে তাদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি আসলে কিছুই পারেনা, শুধু সিডি ঢুকিয়ে নেক্সট নেক্সট করা ছারা। তবে রিশিত,এবিসি কম্পু এর কয়েকজনকে বেশ ভাল লেগেছে। এই কথাগুলা আসলে বলা আপনাদের সাবধান করার জন্য, কোন প্রবলেমে আপনারাই গুগলের সাহায্য নিয়ে অনক কিছু সলভ করতে পারবেন যেগুলা আইডবিতে নিলে আজগুবি সমাধান শুনবেন। উল্টা টাকাও খসবে...

সমস্যা ১:
উইনডোস ভিসতা বা সেভেন সেটআপ হয়, এক্স পি হয় না:

খুব কমন সমস্যা। এটা হয় কারন এখনকার সব ল্যাপটপেই সাটা মুড ahci mode করা থাকে। আপনার এক্স পি ভার্সনটি যদি এই মুড সাপোর্ট না করে তাহলে একটা ব্লু স্ক্রীন দিয়ে রিস্টার্ট হয়ে যাবে। ভয় পাবার কিছু নেই। আপনি একটি সাটা মুড এনাবলড সিডি দিয়ে ট্রাই করলে হয়ে যাবে। ( রিকমেন্ডেড পদ্ধতি- কারন- সাটা মুডে হার্ডিস্ক আই/ও এর স্পিড বেশি থাকে, ৩জিবি/সে)
অথবা- বায়োসে ঢুকুন। এটা ঢুকতে হলে ব্র‌্যান্ড ভেদে ডেল (del) কী অথবা এফ২ কী প্রেস করতে হবে।
এরপর সাটা মুড এ যেতে হবে। ahci mode টা ডিসেবল দিন। কোন কোন ব্রান্ড এ ahci mode আর IDE মুড শো করে। ওখানে IDE মুড টা সিলেক্ট করে দিন। এরপর এফ১০ কী দিয়ে সেভ করে বের হয়ে আসুন।
তারপর আপনার পুরানো এক্সপি সিডি দিয়েই যথারিতি সেটাপ দিন।

সমস্যা২
এত্ত ফাস্ট কোর সিরিজের প্রসেসর কিন্তু এক্সপিতে স্লো কেন!!
মাইক্রোসফট উইন সেভেন কে প্রমোট করার জন্য এখন সব ল্যাপটপ ম্যানুফেকচার কোম্পানিকে বাধ্য করে সেভেন দিয়ে প্রোডাকট বের করতে। তাই সব ড্রাইভার গুলা সেভেনে খুব ভাল চলে। আর ওয়েবসাইটেও ড্রাইভার গুলা সেভেন সাপোর্টেড থাকে।এক্সপির জন্য নয়। আর কোর সিরিজের ( কোরে আই৩, আই ৫, কোর৭) প্রসেসরগুলা এক্সপির চেয়ে অনেক ভাল পারফর্মেন্স দেয় সেভেনে।
বাংলাদেশে কাস্টমাররা এক্সপিতেই সুবিধা বেশি পাওয়ার কারনে দোকানগুলাতে এক্সপি দিয়ে দেয়। এগুলার ড্রাইভার অন্য মডেল ঘেটে ঘুটে কেদে কেটে বের করা। সবক্ষেত্রে সঠিক ড্রাইভার দেয়া হয় না , তাই পারফরমেনস ভাল পাওয়া যায় না।
তাই পরামর্শ হল যদি আপনার ল্যাপটপে এক্সপি-ই চালাটে হয় তাহলে ডুয়েল কোর বা কোর টু ডুয়ো প্রসেসর এর ল্যাপটপ কিনুন। কারন এগুলার এক্সপি ড্রাইভার এভেইলেবল এবং নেটেও পাওয়া যায়।

সমস্যা ৩
ড্রাইভার ইন্সটল
ল্যাপটপ কেনার সময় আমরা অনেকেই খুশিতে ল্যাপটপ পেয়েই ভুলে যাই অন্য দরকারি কথা। যেমন ড্রাইভার ডিভিডি। অনেক সময় ও এস দেবার সময় ড্রাইভার ভুলে দোকানেই রেখে চলে আসেন অনেকে।এই ভুল করা যাবে না।
একটা ড্রাইভার ডিভিডি তে যেই ড্রাইভার নেই সেই ড্রাইভারেরও সফটওয়ার দেয়া থাকে। গণ হারে অনেক ড্রাইভার দেয়া থাকে। ভুলে ওগুলা ইন্সটল করে ফেললে বিপদেই পরবেন।
তাই সবচে ভাল হল ওরিজিনাল ওএস সহ লয়াপটপ কেনা। কারন এগুলার রিকভারি হার্ডিস্কেই থাকে, যখন তখন সিডি ছাড়াই ইন্সটল করা যায়। একারনে এগুলার সাথে কোন সিডি দেয়া হয় না। নিয়ম হল এরকম উইন্ডোস সহ ল্যাপি কিনলে কেনার পরপরপই রিকভারি টি ডিভিডিতে বার্ন করে ফেলা। এটা কেনার সময় দোকান থেকে দেখে নিবেন অবশ্যই।
আর যদি পাইরেটেড ওএস দিয়ে নেন তাহলে অবশ্যই ডিভিডি ড্রাইভার থাকবে। সেখান থেকে শুধুমাত্র দরকারি ড্রাইভার গুলা আলাদা করে হার্ডিডস্সকে কপি করে দিতে বলুন কেনার সময়-ই। নইলে অপ্রয়োজনীয় ড্রাইভার ইন্সটল করে পিসি হ্যং বা স্লো এর মত সমস্যায় পরবেন। আবার যখন ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে যাবে- এই ড্রাইভার নিতে আপনার মিনিমাম ১০০০ টাকা শেষ হবে। কারন আপনি বুঝবেন না কোন ড্রাইভারের জন্য কোন কোন সফটওয়ার দিতে হবে।

আজ আর নয়, হাত ব্যথা হয়ে গেছে। এত খানি পড়তে যদি আগ্রহ পান তবে পরে কিছু লেখার আশা রাখি।

একটা টিপস- সবসময় যেই ব্রান্ড সেইটার সার্ভিস সেন্টার থেকে সার্ভিস নেবার চেস্টা করবেন। ওয়ারেন্টি শেষ হবার আগেই আপনার ড্রাইভার ব্যকাপ বা জিগ্গাসা জেনে নিবেন অবশ্যই।

শুভ কামনা।

The enlightened world

The world is always a room for possibilities, a chance for winning the race, a roar for wining. We r not stopped , we r are moving forward and thinking to have a  great for the mankind.

My blog site is to make thins brighter and wish big.

Are you with me to win this journey?